ইরানে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া নিহত
হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করা হয়েছে
- আপডেট সময় : ০৩:৪৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪ ৬২ বার পড়া হয়েছে
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এর রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে ইরানের রাজধানী তেহরানে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস।
বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে তেহরানে তার বাসভবনে হামলা হলে হানিয়া ও তার এক দেহরক্ষী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস। (সূত্রঃ প্রেস টিভি নিউজ)
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে ইরানের রাজধানী তেহরানে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানি গণমাধ্যম।
ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের বিবৃতিতে হামাস নেতার মৃত্যুতে ফিলিস্তিনের জনগণ, মুসলিম বিশ্ব এবং প্রতিরোধ ফ্রন্টের যোদ্ধাদের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে।
হামাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তেহরানে তার বাসভবনে ইসরাইলি অভিযানে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর নেতা ইসমাইল হানিয়াহ নিহত হয়েছেন।
গত মঙ্গলবার (৩০ জুলাই, ২০২৪), হানিয়া ইরানের নতুন রাষ্ট্রপতির অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন এবং ইরানের সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে দেখা করেন।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায় ফিলিস্তিনি ইসমাইল হানিয়ার পারিবারিক বাসস্থানে গতমাসের ২৫ জুন বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। সেই হামলায় তার বোনসহ অন্তত ১০ জন নিহত হন।
গত এপ্রিলে ঈদুল ফিতরের দিন ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইসমাইল হানিয়ার তিন ছেলে ও বেশ কয়েকজন নাতি-নাতনি প্রাণ হারিয়েছিলেন। ঈদের দিনে একটি বেসামরিক গাড়িতে চড়ে এক স্বজনের বাড়িতে যাচ্ছিলেন ইসমাইল হানিয়ার ছেলে, নাতি-নাতনিরা। এ সময় গাড়িটি লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বিমান থেকে হামলা চালানো হয়। এতে হানিয়ার তিন ছেলে হাজেম, আমির ও মুহাম্মদ ইসমাইল হানিয়া এবং তার অন্তত তিন নাতি-নাতনি নিহত হন।
তার আরেক ছেলে গত ফেব্রুয়ারিতে এবং ভাই ও ভাতিজা অক্টোবরে প্রাণ হারান। এরপর নভেম্বরে তার এক নাতি নিহত হন।
ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকান্ড নিয়ে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাসান বারারি বলেছেন যে, ইসরাইল কর্তৃক হানিয়ার হত্যাকান্ডের ঘটনায় তিনি অবাক হননি। “এটি ইসরায়েলের একটি ঘোষিত নীতি, নেতানিয়াহু বলে আসছেন যে তিনি গাজার ভিতরে বা বাইরে হামাস নেতাদের টার্গেট করবেন।”
তিনি আরও বলেন, “এটা পরিষ্কার ছিল যে তারা এটি করার চেষ্টা করবে, কিন্তু আমি তেহরানে এটি ঘটবে বলে আশা করিনি। আমরা জানি যখন ইসরায়েল দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল, কিভাবে ইরানিরা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল এবং কীভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইসরায়েলকে সমর্থন করার জন্য সমাবেশ করেছিল এবং যুদ্ধের সম্ভাবনাকে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল,”।