মিরপুর ল' কলেজে অস্থিরতা
মিরপুর ল’ কলেজের বহিস্কৃত অধ্যক্ষের সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতি’

- আপডেট সময় : ০৬:০০:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫ ৩ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা’র মিরপুর-১১ নম্বরে অবস্থিত মিরপুর ল’ কলেজের বহিস্কৃত অধ্যক্ষ জনাব আলাউদ্দীন আহমেদ এর সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতি’ কলেজটি’র সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী সহ সকল মহলে চাঞ্চল্য ও অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে।
সাম্প্রতিক অনুসন্ধানে তার নজিরবিহীন এক অনিয়ম ধরা পরেছে, যার সাথে অর্থ আত্মসাৎ এর মতো বিষয়ের ইঙ্গিত সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।
অতি সম্প্রতি ২০২২-২০২৩ সালের এলএল.বি. ১ম বর্ষের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য প্রতিষ্ঠানটির বহিস্কৃত অধ্যক্ষ জনাব আলাউদ্দীন আহমেদ এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর শিক্ষকদের নাম প্রস্তাব করে চিঠি দিয়েছেন। চিঠি’তে উল্লেখকৃত ৪ নম্বর ক্রমিকে’র “মিসেস ইসমাত সুলতানা” নামে যে অধ্যাপকের নাম তিনি প্রস্তাব করেছেন এই নামে মিরপুর ল’ কলেজে কোন শিক্ষক কর্মরত নেই এবং ছিলোও না কখনো।

নিবিড় অনুসন্ধানে জানা যায় উল্লেখিত “মিসেস ইসমাত সুলতানা” সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী এবং জনাব আলাউদ্দীন আহমেদ এর সহকারী হিসাবে কর্মরত। জনাব আলাউদ্দীন আহমেদ “মিসেস ইসমাত সুলতানা’-র নামে জাল কাগজপত্র তৈরি করে তাকে মিরপুর ল’ কলেজের শিক্ষক হিসাবে প্রদর্শন করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবৈধ সুবিধা আদায়ের মাধ্যমে অর্থ তছরুপের ঘৃন্য চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে কলেজটির একাধিক সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী’র সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান, জনাব আলাউদ্দীন আহমেদ বরাবর সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কলেজটিকে কুক্ষিগত করে রেখেছিলেন। উল্লেখিত ঘটনাটি জনাব আলাউদ্দীন এর আর্থিক দুর্নীতি’র স্পষ্ট প্রমাণ বহন করে।
বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে বহিস্কৃত অধ্যক্ষ জনাব আলাউদ্দীন আহমেদ কলেজের শিক্ষা’ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করতে নিয়মিত শিক্ষকদের মধ্যে অনেককেই কলেজে না আসার ব্যাপারে নানাবিধ চাপ প্রয়োগ করে তাদেরকে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন। এ ব্যাপারে একাধিক মাধ্যমে কলেজের নিয়মিত শিক্ষক জনাব সোহেল মল্লিক, জনাব পাল দীপ্তাংশু নন্দন ও মিসেস সাবিনা ইয়াসমিনের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তারা কলেজের শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ না করে দুর্নীতিবাজ, অবৈধ ও বহিস্কৃত অধ্যক্ষ জনাব আলাউদ্দীন আহমেদের নির্দেশনা অনুযায়ী কলেজে অনুপস্থিত থেকে নিয়মিত পাঠদান কার্যক্রম থেকে নিজেদের বিরত রেখেছেন।
সুত্র আরও নিশ্চিত করেছে জনাব আলাউদ্দীন আহমেদের সীমাহীন স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়ে তাকে প্রত্যক্ষভাবে মদদ দিয়ে যাচ্ছেন কলেজটির খন্ডকালীন শিক্ষিকা নাজিয়া রহমান। তিনি বিভিন্নভাবে কলেজের শিক্ষাকার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করতে জনাব আলাউদ্দীন আহমেদ এর দোসর হিসাবে কাজ করে যাচ্ছেন। মিসেস নাজিয়া রহমান নিজেকে বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের অবৈধ এমপি জনাব ইলিয়াস মোল্লা এবং তার ভাই এখলাস মোল্লার ভাগ্নী হিসাবে বিভিন্ন মহলে পরিচয় দিয়ে অবৈধ প্রভাব বিস্তার করতেন বলে জানা গেছে।