ঢাকা ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পালিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর আব্দুর রউফ তালুকদার পালিয়ে গেছেন

Mazhar Islam
  • আপডেট সময় : ০৪:১১:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪ ৫১ বার পড়া হয়েছে
Spread the love

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট  ভারত পালিয়ে যান ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন থেকেই পলাতক ছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের নিয়োগ দেয়া গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। ৬ আগস্ট থেকে তিনদিন ব্যাংক খোলা থাকলেও অফিসে যাননি তিনি। শেষ পর্যন্ত অজ্ঞাত স্থান থেকেই গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র পাঠান বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থার সর্বনাশ করা এ গভর্নর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের দ্বাদশ গভর্নর হিসেবে ২০২২ সালের ১২ জুলাই আব্দুর রউফ তালুকদার নিযুক্ত হয়েছিলেন। গভর্নর নিযুক্তির আগে অর্থ সচিব ছিলেন তিনি। চাকরি জীবনের প্রায় পুরো সময়েই কাটিয়েছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ে। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত আমলা হিসেবে পরিচিতি ছিল তার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর, অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংক নির্বাহীরা জানিয়েছেন, গভর্ণর হওয়ার পর আব্দুর রউফ তালুকদার দলীয় কর্মীর ভূমিকা পালন করেছেন।  তার নেয়া অনেক সিদ্ধান্তই ছিল রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত। সীমাহীন অর্থলোপাট ও দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ততা থাকায়  সরকার পতনের পর প্রকাশ্যে আসতে আর সাহস পাননি। বাংলাদেশ ব্যাংক শুধু নয়, বিশ্বের কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর এভাবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে পালিয়েছেন কিনা, সেটি নিয়েও সন্দেহ আছে।

অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর মনে করেন, ‘শেখ হাসিনার টানা ১৫ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশ ব্যাংক স্বাধীনভাবে পরিচালিত হতে পারেনি। এ কারণে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জনগণের আমানতের অর্থ ব্যাংক থেকে লুণ্ঠিত হয়েছে। এতে সরকারের ওপর মানুষের ক্ষোভ বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংককে স্বাধীনভাবে চলতে দিলে সরকারেরই উপকার হতো।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

পালিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর আব্দুর রউফ তালুকদার পালিয়ে গেছেন

আপডেট সময় : ০৪:১১:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪
Spread the love

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট  ভারত পালিয়ে যান ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন থেকেই পলাতক ছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের নিয়োগ দেয়া গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। ৬ আগস্ট থেকে তিনদিন ব্যাংক খোলা থাকলেও অফিসে যাননি তিনি। শেষ পর্যন্ত অজ্ঞাত স্থান থেকেই গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র পাঠান বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থার সর্বনাশ করা এ গভর্নর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের দ্বাদশ গভর্নর হিসেবে ২০২২ সালের ১২ জুলাই আব্দুর রউফ তালুকদার নিযুক্ত হয়েছিলেন। গভর্নর নিযুক্তির আগে অর্থ সচিব ছিলেন তিনি। চাকরি জীবনের প্রায় পুরো সময়েই কাটিয়েছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ে। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত আমলা হিসেবে পরিচিতি ছিল তার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর, অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংক নির্বাহীরা জানিয়েছেন, গভর্ণর হওয়ার পর আব্দুর রউফ তালুকদার দলীয় কর্মীর ভূমিকা পালন করেছেন।  তার নেয়া অনেক সিদ্ধান্তই ছিল রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত। সীমাহীন অর্থলোপাট ও দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ততা থাকায়  সরকার পতনের পর প্রকাশ্যে আসতে আর সাহস পাননি। বাংলাদেশ ব্যাংক শুধু নয়, বিশ্বের কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর এভাবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে পালিয়েছেন কিনা, সেটি নিয়েও সন্দেহ আছে।

অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর মনে করেন, ‘শেখ হাসিনার টানা ১৫ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশ ব্যাংক স্বাধীনভাবে পরিচালিত হতে পারেনি। এ কারণে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জনগণের আমানতের অর্থ ব্যাংক থেকে লুণ্ঠিত হয়েছে। এতে সরকারের ওপর মানুষের ক্ষোভ বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংককে স্বাধীনভাবে চলতে দিলে সরকারেরই উপকার হতো।’