ঢাকা ০৬:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ড্রোন থেকে গাপ্পি মাছ, ব্যার্থ সবই

গত তিন মাসে ঢাকায় মশার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি!

Mazhar Islam/ব্যাতিক্রম নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৩:১৮:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪ ১৫৩ বার পড়া হয়েছে
Spread the love

রাজধানী ঢাকায় মশার উৎপাত এতোটাই বেড়েছে যে, ঘরে কিংবা বাইরে কোথাও স্বস্তিতে নেই মানুষ। শুধু রাতে নয়, দিনের বেলাও মশার কামড়ে অস্বস্তিতে পরতে হচ্ছে নগরবাসীকে। রাজধানীর মশা নিয়ে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গত তিন মাসের ব্যবধানে শুধু ঢাকাতেই মশা বেড়েছে দ্বিগুণ হারে। শীত শেষে নেই জমে থাকা পানি, তারপরও কেন এত মশা বাড়ছে? বছরে মশা মারার পেছনে ব্যয় করা হচ্ছে শত কোটি টাকারও বেশি। এমন পরিস্থিতিতে মশাবাহী রোগ প্রতিরোধে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন এর সাথে বৈঠকে বসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এতে মশা নিধনের কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্তলাল সেন। এই বৈঠকে ঢাকার উত্তর সিটি মেয়র আতিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক নিয়ে। তিনি বলেন, ঢাকার খালগুলো পরিষ্কারের দায়িত্ব মূলত রাজউকের। কিন্তু তারা একাজটি যথাযথভাবে পালন না করার ফলে মশা বাড়ছে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকায় সবচেয়ে বেশি মশা রয়েছে রাজধানীর উত্তরা সংলগ্ন এলাকা ও দক্ষিণখানে। যার দুটোই পরেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর আওতায়।  এর আগে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ভেজাল কোম্পানী’র কাছ থেকে কীটনাশক বিটিআই আমদানী করায় ঐ সিটির মশা মারার উদ্যোগ ভেস্তে যায়। কীটতত্ত্ববীদরা বলছেন, গত কয়েক বছরে শুধু মশা মারতে দুই সিটি কর্পোরেশন ব্যয় করেছে কয়েকশ কোটি টাকা।

অপরদিকে, ব্যবহার করা হয়েছে ড্রোন, পানিতে ছাড়া হয়েছে ব্যাঙ, হাঁস, তেলাপিয়া ও গাপ্পি মাছ। কিন্তু এতো কিছুর পরও মশা না কমে কেন বাড়ছে? এর উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কর্তা ব্যাক্তিদের কাছেও নেই। এদিকে ঢাকা দক্ষিণের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ফজলে শামসুল কবির বলেন, “উনারা কি গবেষণা করছেন এটা উনাদের নিজস্ব বিষয়, আমি এই গবেষণার সাথে মোটেও একমত নই। কারণ আমি মনে করি, দক্ষিণ সিটিতে মশা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
রাজধানীর মশা নিধনে দুই সিটি কর্পোরেশনেরই পর্যাপ্ত বাজেট থাকে, এবং প্রতি বছরই বাড়ে এই টাকা। এতো বাজেটের পরও কেন মশা নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না, এমন প্রশ্নে সিটি কর্পোরেশনের বক্তব্য হচ্ছে, “মানুষ সচেতন না হলে টাকা খরচ করে যতই অভিযান চালানো হোক কোন কাজে আসবে না।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ড্রোন থেকে গাপ্পি মাছ, ব্যার্থ সবই

গত তিন মাসে ঢাকায় মশার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি!

আপডেট সময় : ০৩:১৮:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪
Spread the love

রাজধানী ঢাকায় মশার উৎপাত এতোটাই বেড়েছে যে, ঘরে কিংবা বাইরে কোথাও স্বস্তিতে নেই মানুষ। শুধু রাতে নয়, দিনের বেলাও মশার কামড়ে অস্বস্তিতে পরতে হচ্ছে নগরবাসীকে। রাজধানীর মশা নিয়ে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গত তিন মাসের ব্যবধানে শুধু ঢাকাতেই মশা বেড়েছে দ্বিগুণ হারে। শীত শেষে নেই জমে থাকা পানি, তারপরও কেন এত মশা বাড়ছে? বছরে মশা মারার পেছনে ব্যয় করা হচ্ছে শত কোটি টাকারও বেশি। এমন পরিস্থিতিতে মশাবাহী রোগ প্রতিরোধে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন এর সাথে বৈঠকে বসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এতে মশা নিধনের কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্তলাল সেন। এই বৈঠকে ঢাকার উত্তর সিটি মেয়র আতিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক নিয়ে। তিনি বলেন, ঢাকার খালগুলো পরিষ্কারের দায়িত্ব মূলত রাজউকের। কিন্তু তারা একাজটি যথাযথভাবে পালন না করার ফলে মশা বাড়ছে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকায় সবচেয়ে বেশি মশা রয়েছে রাজধানীর উত্তরা সংলগ্ন এলাকা ও দক্ষিণখানে। যার দুটোই পরেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর আওতায়।  এর আগে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ভেজাল কোম্পানী’র কাছ থেকে কীটনাশক বিটিআই আমদানী করায় ঐ সিটির মশা মারার উদ্যোগ ভেস্তে যায়। কীটতত্ত্ববীদরা বলছেন, গত কয়েক বছরে শুধু মশা মারতে দুই সিটি কর্পোরেশন ব্যয় করেছে কয়েকশ কোটি টাকা।

অপরদিকে, ব্যবহার করা হয়েছে ড্রোন, পানিতে ছাড়া হয়েছে ব্যাঙ, হাঁস, তেলাপিয়া ও গাপ্পি মাছ। কিন্তু এতো কিছুর পরও মশা না কমে কেন বাড়ছে? এর উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কর্তা ব্যাক্তিদের কাছেও নেই। এদিকে ঢাকা দক্ষিণের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ফজলে শামসুল কবির বলেন, “উনারা কি গবেষণা করছেন এটা উনাদের নিজস্ব বিষয়, আমি এই গবেষণার সাথে মোটেও একমত নই। কারণ আমি মনে করি, দক্ষিণ সিটিতে মশা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
রাজধানীর মশা নিধনে দুই সিটি কর্পোরেশনেরই পর্যাপ্ত বাজেট থাকে, এবং প্রতি বছরই বাড়ে এই টাকা। এতো বাজেটের পরও কেন মশা নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না, এমন প্রশ্নে সিটি কর্পোরেশনের বক্তব্য হচ্ছে, “মানুষ সচেতন না হলে টাকা খরচ করে যতই অভিযান চালানো হোক কোন কাজে আসবে না।”