ঢাকা ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোরবানি ঈদে ২৬ লাখ পশু অবিক্রীত রয়ে গেল ।

এস এম সজল/ব্যতিক্রম নিউজ।
  • আপডেট সময় : ০৬:৫১:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুন ২০২৪ ৬৫ বার পড়া হয়েছে
Spread the love

বাংলাদেশে ঈদ-উল-আজহাকে সামনে রেখে যেসব পশু লালন-পালন করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে প্রায় ২৬ লাখ অবিক্রীত রয়ে গেছে। গতবারের চেয়ে এবার পশু কোরবানির সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও বাজারে সংকট তৈরি হয়নি।প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এসব তথ্য প্রকাশ করেছে। সরকার দাবি করছে, দেশের ভেতরের পশু উৎপাদন দিয়ে কোরবানির চাহিদা মিটে গেছে।যদিও এই বক্তব্যের সাথে একমত নন মাংস ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, সীমান্ত পথে ভারত ও মিয়ানমার থেকে পশু দেশের ভেতরে আসার কারণে বাজারে সেটির ‘ইতিবাচক প্রভাব’ পড়েছে।

অন্যদিকে, ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, অধিদপ্তরের হিসাবের সঙ্গে মাঠ পর্যায়ের চিত্রের মিল রয়েছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “এ বছর সারাদেশে মোট এক কোটি চার লাখ আট হাজার ৯১৮টি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে। গত বছর সারাদেশে কোরবানিকৃত গবাদিপশুর সংখ্যা ছিল এক কোটি ৪১ হাজার ৮১২ টি।”অর্থাৎ, গত বছরের তুলনায় এবার সাড়ে তিন লাখ বাড়তি কোরবানি হয়েছে।

অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বছর সবচেয়ে বেশি পশু কোরবানি হয়েছে ঢাকা বিভাগে এবং সবচেয়ে কম হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এবার মাসখানেক আগেই প্রায় ২৩ লাখ পশু অতিরিক্ত আছে জানানোর পর, ক্রেতারা একটু ‘ব্যাকফুটে’ চলে যান বলে জানাচ্ছেন মি. হোসেন।সেই সঙ্গে সীমান্ত দিয়ে ভারত এবং মিয়ানমার থেকেও কিছু গরু আসার খবর পাওয়া যায়।

এতে অন্যান্য বার কোরবানির সপ্তাহ খানেক আগে থেকেই অনেকে গরু-ছাগলসহ অন্যান্য পশু কেনা শুরু করলেও এবার দাম কমার আশায় শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন বলে ধারণা ইমরান হোসেনের।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কোরবানি ঈদে ২৬ লাখ পশু অবিক্রীত রয়ে গেল ।

আপডেট সময় : ০৬:৫১:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুন ২০২৪
Spread the love

বাংলাদেশে ঈদ-উল-আজহাকে সামনে রেখে যেসব পশু লালন-পালন করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে প্রায় ২৬ লাখ অবিক্রীত রয়ে গেছে। গতবারের চেয়ে এবার পশু কোরবানির সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও বাজারে সংকট তৈরি হয়নি।প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এসব তথ্য প্রকাশ করেছে। সরকার দাবি করছে, দেশের ভেতরের পশু উৎপাদন দিয়ে কোরবানির চাহিদা মিটে গেছে।যদিও এই বক্তব্যের সাথে একমত নন মাংস ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, সীমান্ত পথে ভারত ও মিয়ানমার থেকে পশু দেশের ভেতরে আসার কারণে বাজারে সেটির ‘ইতিবাচক প্রভাব’ পড়েছে।

অন্যদিকে, ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, অধিদপ্তরের হিসাবের সঙ্গে মাঠ পর্যায়ের চিত্রের মিল রয়েছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “এ বছর সারাদেশে মোট এক কোটি চার লাখ আট হাজার ৯১৮টি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে। গত বছর সারাদেশে কোরবানিকৃত গবাদিপশুর সংখ্যা ছিল এক কোটি ৪১ হাজার ৮১২ টি।”অর্থাৎ, গত বছরের তুলনায় এবার সাড়ে তিন লাখ বাড়তি কোরবানি হয়েছে।

অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বছর সবচেয়ে বেশি পশু কোরবানি হয়েছে ঢাকা বিভাগে এবং সবচেয়ে কম হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এবার মাসখানেক আগেই প্রায় ২৩ লাখ পশু অতিরিক্ত আছে জানানোর পর, ক্রেতারা একটু ‘ব্যাকফুটে’ চলে যান বলে জানাচ্ছেন মি. হোসেন।সেই সঙ্গে সীমান্ত দিয়ে ভারত এবং মিয়ানমার থেকেও কিছু গরু আসার খবর পাওয়া যায়।

এতে অন্যান্য বার কোরবানির সপ্তাহ খানেক আগে থেকেই অনেকে গরু-ছাগলসহ অন্যান্য পশু কেনা শুরু করলেও এবার দাম কমার আশায় শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন বলে ধারণা ইমরান হোসেনের।