ঢাকা ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাদ্দাফি পরবর্তী লিবিয়া

কেমন আছে গাদ্দাফী পরবর্তী লিবিয়া?

Mazhar Islam
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৩:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪ ৫৬ বার পড়া হয়েছে
Spread the love

লিবিয়া আফ্রিকার বৃহত্তম রাষ্ট্রগুলির একটি। আকারে বিশাল হলেও লিবিয়াতে জনবসতি খুবই লঘু। দেশের বেশিরভাগ অংশ জুড়ে রয়েছে সাহারা মরভূমি। লিবিয়ার প্রায় সমস্ত লোক উপকূলবর্তী অঞ্চলে বাস করে। লিবিয়ার তিনটি প্রধান অঞ্চল হল ত্রিপোলি, ফেজ এবং সিরেনাইকা।

একসময় আফ্রিকার সবচেয়ে সমৃদ্ধ দেশ ছিল লিবিয়া

বার্বার জাতি লিবিয়ার আদিবাসী। খ্রিস্টীয় ৭ম শতকে এখানে আরবদের আগমন ঘটে। বর্তমান লিবিয়ার অধিবাসীরা এই দুই জাতের লোকের মিশ্রণ। স্বল্পসংখ্যক বার্বার এখনও দেশের দক্ষিণ প্রান্তসীমায় বাস করে। লিবিয়ার সংখ্যাগুরু লোক ইসলাম ধর্মাবলম্বী।  ইসলাম এখানকার রাষ্ট্রধর্ম এবং আরবি সরকারি ভাষা।
১৯৫০-এর দশকে খনিজ তেল আবিষ্কারের আগে লিবিয়া একটি দরিদ্র রাষ্ট্র ছিল। পেট্রোলিয়ামের বিরাট মজুদ আবিষ্কারের পর থেকে লিবিয়া আফ্রিকার সবচেয়ে ধনী দেশগুলির একটি। তবে এখনও এখানকার অনেক লোক এখনও খামার ও পশুচারণের কাজে নিয়োজিত, যদিও ভাল খামারভূমির পরিমাণ অত্যন্ত কম।
এক রক্তপাতহীন সামরিক অভ্যুত্থানে ১৯৬৯ সালের ১ সেপ্টেম্বরে লিবিয়ার ক্ষমতা দখল করেছিলেন মাত্র ২৭ বছর বয়সী তরুণ ক্যাপ্টেন মুয়াম্মার গাদ্দাফি এবং আরো কিছু তরুণ সামরিক কর্মকর্তা। রাজা ইদ্রিসকে উৎখাত করে দেশটিকে একটি প্রজাতন্ত্র বলে ঘোষণা করেছিলেন তারা।

রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পরবর্তী ৪২ বছর অত্যন্ত দক্ষতা ও কঠোরতার সাথে তিনি শাসন করেছিলেন লিবিয়া’কে। তাঁর শাসনামলে পশ্চিমা  অবরোধ সত্ত্বেও তিনি লিবিয়াকে একটি সুশৃঙ্খল অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছিলেন এটা বোধহয় গাদ্দাফির শত্রুরাও অস্বীকার করেন না। লিবিয়ার জনগণকে তার সরকারের দেওয়া নাগরিক সুবিধা আফ্রিকার অন্যান্য দেশের তুলনায় প্রশংসনীয় ছিল। ২০১৪ সালের নভেম্বরে কানাডাভিত্তিক গবেষণা ও গণমাধ্যম সংস্থা গ্লোবাল রিসার্চ গাদ্দাফির শাসনকালের কিছু ভালো দিক তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করে। এতে বলা হয়, প্রত্যেক লিবীয় নাগরিকের বাড়িঘর থাকাকে একটি মৌলিক অধিকার বলে গণ্য করত গাদ্দাফি প্রশাসন। শিক্ষা ও চিকিৎসা সুবিধা ছিল সম্পূর্ণ ফ্রি। এমনকি যদি কোনো লিবীয় নাগরিক দেশে কাংক্ষিত চিকিৎসা বা শিক্ষা না পেতেন সেক্ষেত্রে তাকে বিদেশে যাওয়ার অর্থ সরবরাহ করত রাষ্ট্র। কেউ যদি খামার ব্যবসা করতে চাইতেন তাহলে তাকে সরকারের পক্ষ থেকে বাড়ি, খামার, গবাদিপশু ও বীজ সরবরাহ করা হতো। কোনো মহিলার ঘরে নবজাতক জন্মগ্রহণ করলে মা ও বাচ্চার জন্য সরকার পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার সরবরাহ করত। লিবিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাংক থেকে শূন্য শতাংশ হারে ঋণ দেওয়া হতো এবং এর কোনো বৈদেশিক ঋণ ছিল না। গাদ্দাফির শাসনামলে দেশটিতে পেট্রোলের দাম খুব কম ছিল, প্রতি লিটার  ১৪ সেন্ট বা দশমিক ১৪ ইউএস ডলার । এছাড়া তেল বিক্রি করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে যে অর্থ আসত তা প্রত্যেক  নাগরিকের ব্যাংক হিসেবে আনুপাতিক হারে চলে যেত। প্রত্যেক লিবীয় দম্পতিকে বিয়ের পর ৫০ হাজার ডলারসহ নতুন বাসা কিনে দিত সরকার।

কিন্তু বর্তমান অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ এবং হতাশাজনক। আফগানিস্তান, সিরিয়া, ইয়েমেন ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্য যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোর দুর্দশার মতো দুর্দশা নেমে এসেছে তেলসমৃদ্ধ লিবিয়ায়। এ দেশগুলোর দুর্দশার কারণ খুঁজলে দেখা যাবে, প্রতিটিতে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের সঙ্গে বাইরের শক্তির হস্তক্ষেপ মিলিত হয়েছে এবং ভেতর-বাইরের শক্তি এক হয়ে দেশগুলোকে দীর্ঘমেয়াদি সংঘাতে ফেলে দিয়েছে।
তথাকথিত আরব বসন্তের নামে ২০১১ সালের অক্টোবরে কর্নেল গাদ্দাফির  সরকারকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হলো। লিবিয়ার নাগরিকদের ‘রক্ষা করার দায়িত্ববোধ’ থেকে নিরাপত্তা পরিষদ লিবিয়ায় সামরিক অভিযান অনুমোদন দেওয়ার পর মার্কিন সমর্থনপুষ্ট অ্যাংলো-ফ্রেঞ্চ সেনারা দেশটিতে অভিযান শুরু করল। মূলত তারাই গাদ্দাফির পতন ঘটাল।

গাদ্দাফি পরবর্তী লিবিয়ায় এখন একক কোনো কর্তৃত্ব নেই। বিশাল আরব ভূখণ্ডজুড়ে রয়েছে নানান গোষ্ঠী, অস্ত্র এখন প্রায় সবার হাতে হাতে। দীর্ঘ শাসনামলে এসব গোষ্ঠীকে দমিয়ে রেখে প্রচণ্ড প্রতাপে দেশ চালিয়েছেন কর্নেল গাদ্দাফি। কিন্তু পশ্চিমা ছকে গাদ্দাফির পতন ও হত্যাকাণ্ডের পর লিবিয়া গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের এক আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে। লিবিয়ার ক্ষমতা এখন অন্তত তিনটা বড় শক্তির হাতে। রাজধানী ত্রিপলিসহ একাংশ চালাচ্ছে একটা সরকার, বন্দরনগরী বেনগাজিসহ অপর এক অংশের নিয়ন্ত্রণ আরেকজনের হাতে। এর বাইরে ইসলামপন্থিরা দখল করে রেখেছে লিবিয়ার বিশাল একটি অংশ। এসব শক্তির পেছনে বাইরের কোনো না কোনো বড় শক্তির সমর্থন রয়েছে। এই তিন শক্তির বাইরেও লিবিয়ায় অসংখ্য সশস্ত্র গ্রুপের উত্থান হয়েছে, যারা গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বে জড়িয়ে আছেন।

গাদ্দাফি পরবর্তী লিবিয়াতে নাগরিক সমস্যা ও চাকরির সংকট  ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। পুরো লিবিয়াজুড়েই সংকটে অর্থনীতি, আর্থিক কাঠামো বিপর্যস্ত। রয়েছে তীব্র সুশাসনের অভাব ও একক নেতৃত্বহীনতা।
এই মুহুর্তে লিবিয়ার জনগণের একটা বিরাট অংশ মনে করছেন বর্তমান ভয়াবহ অনিশ্চিত সময়ের চেয়ে তাঁরা একনায়ক গাদ্দাফির আমলেই অনেক বেশি ভাল জীবন যাপন করেছেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

গাদ্দাফি পরবর্তী লিবিয়া

কেমন আছে গাদ্দাফী পরবর্তী লিবিয়া?

আপডেট সময় : ০৭:৩৩:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪
Spread the love

লিবিয়া আফ্রিকার বৃহত্তম রাষ্ট্রগুলির একটি। আকারে বিশাল হলেও লিবিয়াতে জনবসতি খুবই লঘু। দেশের বেশিরভাগ অংশ জুড়ে রয়েছে সাহারা মরভূমি। লিবিয়ার প্রায় সমস্ত লোক উপকূলবর্তী অঞ্চলে বাস করে। লিবিয়ার তিনটি প্রধান অঞ্চল হল ত্রিপোলি, ফেজ এবং সিরেনাইকা।

একসময় আফ্রিকার সবচেয়ে সমৃদ্ধ দেশ ছিল লিবিয়া

বার্বার জাতি লিবিয়ার আদিবাসী। খ্রিস্টীয় ৭ম শতকে এখানে আরবদের আগমন ঘটে। বর্তমান লিবিয়ার অধিবাসীরা এই দুই জাতের লোকের মিশ্রণ। স্বল্পসংখ্যক বার্বার এখনও দেশের দক্ষিণ প্রান্তসীমায় বাস করে। লিবিয়ার সংখ্যাগুরু লোক ইসলাম ধর্মাবলম্বী।  ইসলাম এখানকার রাষ্ট্রধর্ম এবং আরবি সরকারি ভাষা।
১৯৫০-এর দশকে খনিজ তেল আবিষ্কারের আগে লিবিয়া একটি দরিদ্র রাষ্ট্র ছিল। পেট্রোলিয়ামের বিরাট মজুদ আবিষ্কারের পর থেকে লিবিয়া আফ্রিকার সবচেয়ে ধনী দেশগুলির একটি। তবে এখনও এখানকার অনেক লোক এখনও খামার ও পশুচারণের কাজে নিয়োজিত, যদিও ভাল খামারভূমির পরিমাণ অত্যন্ত কম।
এক রক্তপাতহীন সামরিক অভ্যুত্থানে ১৯৬৯ সালের ১ সেপ্টেম্বরে লিবিয়ার ক্ষমতা দখল করেছিলেন মাত্র ২৭ বছর বয়সী তরুণ ক্যাপ্টেন মুয়াম্মার গাদ্দাফি এবং আরো কিছু তরুণ সামরিক কর্মকর্তা। রাজা ইদ্রিসকে উৎখাত করে দেশটিকে একটি প্রজাতন্ত্র বলে ঘোষণা করেছিলেন তারা।

রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পরবর্তী ৪২ বছর অত্যন্ত দক্ষতা ও কঠোরতার সাথে তিনি শাসন করেছিলেন লিবিয়া’কে। তাঁর শাসনামলে পশ্চিমা  অবরোধ সত্ত্বেও তিনি লিবিয়াকে একটি সুশৃঙ্খল অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছিলেন এটা বোধহয় গাদ্দাফির শত্রুরাও অস্বীকার করেন না। লিবিয়ার জনগণকে তার সরকারের দেওয়া নাগরিক সুবিধা আফ্রিকার অন্যান্য দেশের তুলনায় প্রশংসনীয় ছিল। ২০১৪ সালের নভেম্বরে কানাডাভিত্তিক গবেষণা ও গণমাধ্যম সংস্থা গ্লোবাল রিসার্চ গাদ্দাফির শাসনকালের কিছু ভালো দিক তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করে। এতে বলা হয়, প্রত্যেক লিবীয় নাগরিকের বাড়িঘর থাকাকে একটি মৌলিক অধিকার বলে গণ্য করত গাদ্দাফি প্রশাসন। শিক্ষা ও চিকিৎসা সুবিধা ছিল সম্পূর্ণ ফ্রি। এমনকি যদি কোনো লিবীয় নাগরিক দেশে কাংক্ষিত চিকিৎসা বা শিক্ষা না পেতেন সেক্ষেত্রে তাকে বিদেশে যাওয়ার অর্থ সরবরাহ করত রাষ্ট্র। কেউ যদি খামার ব্যবসা করতে চাইতেন তাহলে তাকে সরকারের পক্ষ থেকে বাড়ি, খামার, গবাদিপশু ও বীজ সরবরাহ করা হতো। কোনো মহিলার ঘরে নবজাতক জন্মগ্রহণ করলে মা ও বাচ্চার জন্য সরকার পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার সরবরাহ করত। লিবিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাংক থেকে শূন্য শতাংশ হারে ঋণ দেওয়া হতো এবং এর কোনো বৈদেশিক ঋণ ছিল না। গাদ্দাফির শাসনামলে দেশটিতে পেট্রোলের দাম খুব কম ছিল, প্রতি লিটার  ১৪ সেন্ট বা দশমিক ১৪ ইউএস ডলার । এছাড়া তেল বিক্রি করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে যে অর্থ আসত তা প্রত্যেক  নাগরিকের ব্যাংক হিসেবে আনুপাতিক হারে চলে যেত। প্রত্যেক লিবীয় দম্পতিকে বিয়ের পর ৫০ হাজার ডলারসহ নতুন বাসা কিনে দিত সরকার।

কিন্তু বর্তমান অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ এবং হতাশাজনক। আফগানিস্তান, সিরিয়া, ইয়েমেন ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্য যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোর দুর্দশার মতো দুর্দশা নেমে এসেছে তেলসমৃদ্ধ লিবিয়ায়। এ দেশগুলোর দুর্দশার কারণ খুঁজলে দেখা যাবে, প্রতিটিতে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের সঙ্গে বাইরের শক্তির হস্তক্ষেপ মিলিত হয়েছে এবং ভেতর-বাইরের শক্তি এক হয়ে দেশগুলোকে দীর্ঘমেয়াদি সংঘাতে ফেলে দিয়েছে।
তথাকথিত আরব বসন্তের নামে ২০১১ সালের অক্টোবরে কর্নেল গাদ্দাফির  সরকারকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হলো। লিবিয়ার নাগরিকদের ‘রক্ষা করার দায়িত্ববোধ’ থেকে নিরাপত্তা পরিষদ লিবিয়ায় সামরিক অভিযান অনুমোদন দেওয়ার পর মার্কিন সমর্থনপুষ্ট অ্যাংলো-ফ্রেঞ্চ সেনারা দেশটিতে অভিযান শুরু করল। মূলত তারাই গাদ্দাফির পতন ঘটাল।

গাদ্দাফি পরবর্তী লিবিয়ায় এখন একক কোনো কর্তৃত্ব নেই। বিশাল আরব ভূখণ্ডজুড়ে রয়েছে নানান গোষ্ঠী, অস্ত্র এখন প্রায় সবার হাতে হাতে। দীর্ঘ শাসনামলে এসব গোষ্ঠীকে দমিয়ে রেখে প্রচণ্ড প্রতাপে দেশ চালিয়েছেন কর্নেল গাদ্দাফি। কিন্তু পশ্চিমা ছকে গাদ্দাফির পতন ও হত্যাকাণ্ডের পর লিবিয়া গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের এক আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে। লিবিয়ার ক্ষমতা এখন অন্তত তিনটা বড় শক্তির হাতে। রাজধানী ত্রিপলিসহ একাংশ চালাচ্ছে একটা সরকার, বন্দরনগরী বেনগাজিসহ অপর এক অংশের নিয়ন্ত্রণ আরেকজনের হাতে। এর বাইরে ইসলামপন্থিরা দখল করে রেখেছে লিবিয়ার বিশাল একটি অংশ। এসব শক্তির পেছনে বাইরের কোনো না কোনো বড় শক্তির সমর্থন রয়েছে। এই তিন শক্তির বাইরেও লিবিয়ায় অসংখ্য সশস্ত্র গ্রুপের উত্থান হয়েছে, যারা গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বে জড়িয়ে আছেন।

গাদ্দাফি পরবর্তী লিবিয়াতে নাগরিক সমস্যা ও চাকরির সংকট  ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। পুরো লিবিয়াজুড়েই সংকটে অর্থনীতি, আর্থিক কাঠামো বিপর্যস্ত। রয়েছে তীব্র সুশাসনের অভাব ও একক নেতৃত্বহীনতা।
এই মুহুর্তে লিবিয়ার জনগণের একটা বিরাট অংশ মনে করছেন বর্তমান ভয়াবহ অনিশ্চিত সময়ের চেয়ে তাঁরা একনায়ক গাদ্দাফির আমলেই অনেক বেশি ভাল জীবন যাপন করেছেন।