ঢাকা ০৬:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজন প্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

এস এম সজল/ব্যতিক্রম নিউজ।
  • আপডেট সময় : ১০:৪৪:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪ ৭৩ বার পড়া হয়েছে
Spread the love

ঈদের পরে বাজারে ডিমের চাহিদা বেড়েছে। ফলে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় ও দাম খানিকটা বেড়েছে বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা।এদিকে প্রান্তিক পর্যায়ের ডিমের খামারিদের অভিযোগ যে দামে ডিম বিক্রি হচ্ছে এর সুফল তারা ভোগ করছেন না। বরং অনেক খামারির উৎপাদন খরচ বাড়লেও ন্যায্য মূল্য না পেয়ে ব্যবসা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে।এ সময়ে ডিমের দাম বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ডিম ব্যবসায়ী সমিতির দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেন প্রান্তিক খামারিরা।

বাংলাদেশে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজন প্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এখন খোলাবাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা।মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম এভাবে বাড়ছে কেন?

দেশে প্রতিদিন ডিমের চাহিদা চার কোটি। উৎপাদন হয় সাড়ে চার কোটি। সাড়ে পাঁচ কোটি মুরগি থেকে এই ডিম উৎপাদন হয় বলে জানিয়েছেন খামারিরা। বাজারে যে ডিমের চাহিদা রয়েছে তার ৮০ শতাংশ উৎপাদন করছে প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিরা।

বাংলাদেশ পোল্ট্রি এসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বিবিসি বাংলাকে বলেন, “ সরকারের কোন প্রতিষ্ঠান বা সহযোগিতা না থাকায় প্রান্তিক পর্যায়ে খামারিরা ডিমের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। ফলে দিন দিন খামারির সংখ্যা কমছে। ডিমের যারা সিন্ডিকেট আছে তারা ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণ করে”।

“ তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতি ও করপোরেট কয়েকটা প্রতিষ্ঠান তারা চাইলে দাম বাড়িয়ে দিতে পারেন, আবার চাইলে দাম কমিয়েও দিতে পারে। পহেলা মে খামারে যে লাল ডিমের দাম ছিলো আট টাকা ২০ পয়সা, দোসরা মে থেকে এগার মে পর্যন্ত সেই দাম ক্রমাগত বাড়ছে। কিন্তু কি এমন পরিবর্তন হইছে যেটার জন্য ডিমের এতো দাম বাড়াবে ” বলে অভিযোগ করেন মি. হাওলাদার।

খামারিরা বলছেন, খামারে একটি ডিমের উৎপাদন খরচ সাড়ে নয় টাকা থেকে সাড়ে দশ টাকা। কিন্তু তাদের কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

তাদের অভিযোগ, ডিম তারা উৎপাদন করলেও দাম নির্ধারণ করে তেজগাঁও ডিম সমিতি ও কয়েকটা করপোরেট প্রতিষ্ঠান। তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতি খামারিদের কাছ থেকে ডিম কেনার পর ফেসবুকের মাধ্যমে বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীদের বিক্রির জন্য বেশি দাম নির্ধারণ করে দেয়। ফলে বাজার থেকে ক্রেতা বেশি দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছে।মি. হাওলাদার দাবি, এই মুহূর্তে কোন ধরনের পরিবর্তিত পরিস্থিতি না থাকলেও ডিম ব্যবসায়ীদের কারণেই ভোক্তা পর্যায়ে ক্রমাগত বাড়ছে ডিমের দাম।“এখন সরকার খুচরা মূল্য বারো টাকা বা সাড়ে বারো টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে তা যৌক্তিক মূল্য। কিন্তু এটা থাকে না তখন ডিম ব্যবসায়ীরা নিজেদের স্বার্থে এটার দাম কমিয়ে ফেলেন। খামারিদের উৎপাদন খরচ দশ টাকা হলেও বিক্রি করতে হয় সাড়ে সাত টাকা থেকে আট টাকার ভেতরে। প্রান্তিক খামারিরা তাদের কাছে অসহায় ”।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজন প্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

আপডেট সময় : ১০:৪৪:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪
Spread the love

ঈদের পরে বাজারে ডিমের চাহিদা বেড়েছে। ফলে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় ও দাম খানিকটা বেড়েছে বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা।এদিকে প্রান্তিক পর্যায়ের ডিমের খামারিদের অভিযোগ যে দামে ডিম বিক্রি হচ্ছে এর সুফল তারা ভোগ করছেন না। বরং অনেক খামারির উৎপাদন খরচ বাড়লেও ন্যায্য মূল্য না পেয়ে ব্যবসা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে।এ সময়ে ডিমের দাম বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ডিম ব্যবসায়ী সমিতির দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেন প্রান্তিক খামারিরা।

বাংলাদেশে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজন প্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এখন খোলাবাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা।মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম এভাবে বাড়ছে কেন?

দেশে প্রতিদিন ডিমের চাহিদা চার কোটি। উৎপাদন হয় সাড়ে চার কোটি। সাড়ে পাঁচ কোটি মুরগি থেকে এই ডিম উৎপাদন হয় বলে জানিয়েছেন খামারিরা। বাজারে যে ডিমের চাহিদা রয়েছে তার ৮০ শতাংশ উৎপাদন করছে প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিরা।

বাংলাদেশ পোল্ট্রি এসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বিবিসি বাংলাকে বলেন, “ সরকারের কোন প্রতিষ্ঠান বা সহযোগিতা না থাকায় প্রান্তিক পর্যায়ে খামারিরা ডিমের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। ফলে দিন দিন খামারির সংখ্যা কমছে। ডিমের যারা সিন্ডিকেট আছে তারা ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণ করে”।

“ তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতি ও করপোরেট কয়েকটা প্রতিষ্ঠান তারা চাইলে দাম বাড়িয়ে দিতে পারেন, আবার চাইলে দাম কমিয়েও দিতে পারে। পহেলা মে খামারে যে লাল ডিমের দাম ছিলো আট টাকা ২০ পয়সা, দোসরা মে থেকে এগার মে পর্যন্ত সেই দাম ক্রমাগত বাড়ছে। কিন্তু কি এমন পরিবর্তন হইছে যেটার জন্য ডিমের এতো দাম বাড়াবে ” বলে অভিযোগ করেন মি. হাওলাদার।

খামারিরা বলছেন, খামারে একটি ডিমের উৎপাদন খরচ সাড়ে নয় টাকা থেকে সাড়ে দশ টাকা। কিন্তু তাদের কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

তাদের অভিযোগ, ডিম তারা উৎপাদন করলেও দাম নির্ধারণ করে তেজগাঁও ডিম সমিতি ও কয়েকটা করপোরেট প্রতিষ্ঠান। তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতি খামারিদের কাছ থেকে ডিম কেনার পর ফেসবুকের মাধ্যমে বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীদের বিক্রির জন্য বেশি দাম নির্ধারণ করে দেয়। ফলে বাজার থেকে ক্রেতা বেশি দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছে।মি. হাওলাদার দাবি, এই মুহূর্তে কোন ধরনের পরিবর্তিত পরিস্থিতি না থাকলেও ডিম ব্যবসায়ীদের কারণেই ভোক্তা পর্যায়ে ক্রমাগত বাড়ছে ডিমের দাম।“এখন সরকার খুচরা মূল্য বারো টাকা বা সাড়ে বারো টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে তা যৌক্তিক মূল্য। কিন্তু এটা থাকে না তখন ডিম ব্যবসায়ীরা নিজেদের স্বার্থে এটার দাম কমিয়ে ফেলেন। খামারিদের উৎপাদন খরচ দশ টাকা হলেও বিক্রি করতে হয় সাড়ে সাত টাকা থেকে আট টাকার ভেতরে। প্রান্তিক খামারিরা তাদের কাছে অসহায় ”।