ঈদ কেনাকাটায় বাজেটের মধ্যে মিলছে না পোশাক।
- আপডেট সময় : ০৭:৫৬:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৮৯ বার পড়া হয়েছে
সন্তানদের জন্য ঈদের পোশাক কিনতে দেশের জনপ্রিয় একটি ব্র্যান্ডের দোকানে ঘুরেছেন আব্দুল হামিদ। ঘণ্টাখানেক ধরে হাতড়েও বাজেটের নাগালে কোনো পোশাক না পেয়ে খালি হাতে ফিরেছেন বেসরকারি এই চাকুরে।তারধারণা, যা বেতন পান, তার প্রায় দ্বিগুণ খরচ হবে রোজার মাসে। আর ঈদ পোশাকের যে দাম দেখছেন, তাতে ৫০ হাজার টাকাতেও কুলাবে না বলে মনে করেন তিনি।
১৫ রোজার আগেই কেনাকাটা সেরে ফেলা গৃহিনী সাদিয়া রহমানের কাছে এবার পোশাকের দাম গতবারের তুলনায় কিছুটা বেশি মনে হয়েছে।গত বছরের তুলনায় ঈদ পোশাকের দাম কিছুটা বেশি। তবে অনেক ঘুরে ঘুরে বাজেটের মধ্যে কিনতে পেরেছি। যদিও দামের তুলনায় পোশাকের মান ও নকশা দুটোই কম মনে হয়েছে।বাজেটের সঙ্গে পোশাকের দাম মিলছে না, মার্কেটে এমন ক্রেতাই এবার বেশি। পোশাকের দাম বাড়তি মনে হওয়ায় কেউ কেউ অর্ধেক কেনাকাটা করেছেন, কেউ এখনো দামদর জানার মধ্যেই আছেন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতিবছরই দাম বাড়ছে কাপড়, রঙ, সুতা থেকে শুরু করে সব ধরনের উপকরণের। একই সঙ্গে পোশাক তৈরির শ্রমিকদের মজুরি ও বিদ্যুতের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রভাব পড়েছে ঈদে পোশাকের দামে। তবে কেউ কেউ বলছেন ঈদ পোশাকের দাম ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।
ধানমন্ডির রাপা প্লাজার এক দোকানি (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বললেন, সবকিছুর দাম বেশি তাই পোশাকের দামও এবার বেড়েছে। আর কম বাজেটের চিন্তায় যে পোশাক তৈরি করা হয়েছে, তার নকশা ও কাপড়ের মানে কমতি তো থাকবেই।
ক্রেতারা জানান, সুতি, বিদেশি ও সিনথেটিক কাপড়ের দাম গজ প্রতি প্রায় ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে।
দোকানিরা জানিয়েছেন, ঈদ উপলক্ষ্যে সুতি কাতান প্রতি গজ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর সিনথেটিক কাতানের দাম পড়ছে ৩৫০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। ক্রেতারা নকশা করা জর্জেট কাপড় কিনছেন ৭০০ থেকে ২ হাজার টাকা গজে। সুতির টাইডাই ও বাটিক কাপড় কিনতে খরচ করতে হবে গজ প্রতি ৯০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত।